করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় লে-অফ ঘোষণা, গত মাসের মজুরি পরিশোধ না করা ও গত চার সপ্তাহে কমপক্ষে ত্রিশ হাজার শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় গার্মেন্ট টিইউসির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে গার্মেন্ট মালিকরা ব্যাপক ছাটাই, কারখানা লে-অফ ঘোষণা ও শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করার মধ্য দিয়ে এক এক নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মালিকরা সরকারের কাছ থেকে বড় বেল-আউট আদায়ের দর কষাকষির কৌশল হিসেবে শ্রমিকদের জিম্মি দশায় ফেলেছে। এই মহামারিতে শ্রমিকদের ওপর লে-অফ, ছাটাই, বেতন বকেয়া রাখাসহ নানান জুলুম চাপিয়ে মালিকরা তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম মহামারীর সময়ে শ্রমিকদের মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দিয়েছে।
‘যাতে ব্যাপকভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না ঘটে, সে জন্য সরকার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকার শ্রমিকদের মজুরিবাবদ ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও মালিকরা সব কারখানায় একযোগে লে-অফ ঘোষণা করেছে। মালিকদের এই কর্ম অমানবিক, ঘৃণ্য এবং বর্বর। মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির অধীন কারখানা বন্ধ রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই শ্রম আইনের ১৬ ধারা প্রয়োগ অর্থাৎ কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না।’
জলি তালুকদার আরও বলেন, করোনা মহামারির সুযোগে গত চার সপ্তাহে গার্মেন্টস খাতে অন্তত ৩০ হাজার শ্রমিক ছাটাই, বরখাস্ত ও জোরপূর্বক ইস্তফার ঘটনা ঘটেছে। একেকটি কারখানায় একসাথে একশ’ থেকে এক হাজার শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। এ সব ছাটাই, বরখাস্ত, জোরপূর্বক ইস্তফা বন্ধ এবং গত চার সপ্তাহে হওয়া সব চাকুরিচ্যুতি বাতিল ঘোষণা করতে হবে।